লোকসানের শঙ্কায় দুগ্ধ খামারিরা

১৯৭৩ সালে সমবায়ভিত্তিক রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠান মিল্কভিটার দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এই অঞ্চলে গড়ে ওঠে গরুর শত শত খামার। বর্তমানে এখানে গড়ে উঠেছে প্রায় ৪৫টি বেসরকারি দুধ শিতলীকরণ কোম্পানি। গবাদি পশু সারা বছরই খামার সংলগ্ন গো-চারণ ভূমিতে রাখা হয়। সেখানে সবুজ ঘাঁসের পাশাপাশি খড়, বিভিন্ন প্রকারের ভুষি, খৈল খাইয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে লালন করা হয় গবাদি পশুগুলোকে।

কিন্তু বর্ষা মৌসুম আসলেই চিন্তায় পড়েন খামারিরা। পানিতে সবুজ চারণ ভূমি তলিয়ে যায় পানিতে। একদিকে দাম কম, অন্যদিকে দফায় দফায় গো খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে লোকসান গুণতে হয় খামারিদের। এছাড়া দুধ কোম্পানিগুলো দাম কম দেওয়ার পাশাপাশি অনেক সময় দুধ সংগ্রহও কমিয়ে দেয় বলে অভিযোগ খামারিদের।

এ বিষয়ে এক খামারি বলেন, বর্ষায় কাঁচা ঘাস না পাওয়ায় বাড়তি খাবার কিনতে হয়। কিন্তু এ সময়ই দুধের দাম কমে যায়। 

দুগ্ধ শিল্পকে লোকসানের হাত থেকে রক্ষায় দুধের মূল্য বৃদ্ধিসহ কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি করে অপর এক খামারি বলেন, সরকারের কাছে অনুরোধ, দুধের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি গোখাদ্যের সঠিক মূল্যের দিকেও যেন নজর দেওয়া হয়। 

তবে গবাদিপশুর রোগ প্রতিরোধ, দুধের উৎপাদনবৃদ্ধিসহ খামারিদের সহায়তায় নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানালেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আক্তারুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, আমরা এমন উদ্যোগ নিচ্ছি যেন মধ্য খামারিরা সরাসরি নিজেদের উৎপাদিত দুধ বিক্রি করতে পারে। 

প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য মতে, জেলায় মোট খামারের সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। গাভীর সংখ্যা প্রায় দেড় লাখ। আর প্রতিদিন প্রায় সাড়ে সাত লাখ লিটার দুধ উৎপাদন হয়।